১। দরিদ্র গর্ভবতী মহিলাদের ভাতা প্রদান:
ভাতা পাওয়ার শর্ত:
(ক) প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভকাল (যে কোন এক বার)
(খ) বয়স ২০ বছর বা তার উর্দ্ভে
(গ) মোট মাসিক আয় ১৫০০/= টাকার নিম্নে
(ঘ) দরিদ্র প্রতিবন্ধি অগ্রাধিকার পাবেন।
(ঙ) কেবল বসত বাড়ী রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করে।
(চ) নিজের বা পরিবারে কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকুর নাই।
(ছ) জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে।
উপরোক্ত শর্তগুলো ঠিক আছে কি না এনজিও প্রতিনিধি দ্বারা নির্বাচণ করে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে মিটিং করে যাচাই বাছাই করা হয়। প্রতি ছয়মাস অন্তর ২১০০/= টাকা করে চার বার ভাতা ভোগীকে ভাতা প্রদান করা হয়।
২। হত দরিদ্র ও দু:স্থ মহিলাদের ভিজিডি কার্ড বিতরণ:
ভিজিডি কার্ড পাওয়ার শর্ত:
(ক) অতিমাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তাহীন অর্থাৎ যে পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই খাদ্যের অভাবে প্রতিদিন কোন না কোন বেলা খাবার পেতে পারে না।
(খ) যাদের কোন জমি নাই অথবা ০.১৫ একরের কম জমির মালিক। এ ক্ষেত্রে ভূমিহীন পরিবার অগ্রাধিকার পাবে।
(গ) বসত বাড়ির অবস্থা (ঘরের ছাউনি, বেড়া, দরজা, খুটি ও পয়: নিষ্কাশন )খুবই নিম্নমানের।
(ঘ) যে সব পরিবার দৈনিক অথবা অনিয়মিত দিন মজুর হিসাবে অতি সামান্য আয় করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং সুনির্দিষ্ট কোন আয়ের উৎস্য নেই।
(ঙ) পরিবার প্রধান মহিলা এবং কোন উপার্জনক্ষম পুরুষ সদস্য অথবা অন্য কোন আয়ের উৎস্য নেই।
উপজেলা পর্যায়ে ভিজিডি মহিলা বাছাই কমিটি গঠন করে দরিদ্র মহিলাদের আবেদন পত্র নেওয়া হয়। এই আবেদন পত্র ইউনিয়ন কমিটি যাচাই বাছাই করে উপজেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করে। সেগুলো আবার যাচাই বাছাই করে নির্বাচন করা হয়। প্রতি মাসের উপকার ভোগীকে ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে।
৩। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান:
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে রেজি:কৃত যে সব সমিতি আছে সেগুলো দরিদ্র মহিলাদের নিয়ে গঠিত সমিতি। এই সমিতিতে মহিলাদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয় সাবলম্বী হওয়ার জন্য। এই ঋণ ৫% সার্ভিস চার্জ দিয়ে মাসিক ১২ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
৪। যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতন করার লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচীর উপর উঠান বৈঠক:
প্রতি ইউনিয়নে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে মাসে একটি করে উঠান বৈঠক করা হয়।
৫। নারী ও শিশু পাচার রোধকল্পে গৃহীত উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা সৃষ্টিমূলক কার্যক্রম:
নারী ও শিশু পাচার রোধ করার জন্য গ্রামের মহিলাদের নিয়ে মাসে ২টি করে ইউনিয়নে সচেতনমূলক বৈঠক করা হয়।
৬। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ:
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করার জন্য প্রতি মাসে যে কোন ২টি ইউনিয়নে উঠান বৈঠক করা হয় এবং মহিলাদের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস